
তেঁতুলতলা মাঠ এখন পুলিশের: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৭ এপ্রিল ২০২২, ০৩:৪১ পিএম | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৯ এএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আমাদের কথা স্পষ্ট, আমাদের জায়গার প্রয়োজন। কলাবাগানের একটা থানা ভবনও প্রয়োজন। সেটার দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বলছি, যে জায়গা আমরা পেয়েছি এর চেয়ে যদি আরও ভালো কোনো সুইটেবল জায়গা মেয়র সাহেব বা অন্য কেউ ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে আমরা তখন সেটা কনসিডার করব। তবে আপাতত আমাদের থানার জন্য এটিই নির্দিষ্ট জায়গা। সরকারিভাবেও আমাদের কাছে হস্তান্তর হয়েছে। এটিই আমার বক্তব্য।
তাহলে এখানে থানা ভবনের নির্মাণ কাজ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্মাণকাজ হবে কি হবে না সেটা হচ্ছে পরের কথা। এই জায়গাটি পুলিশকে বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন নির্মাণ কাজ হবে কি হবে না সেটা পরে ডিসিশন হবে। এখন বরাদ্দ যেহেতু হয়েছে সেই জায়গাটা এখন পুলিশের।
তাহলে এখানে আর মাঠ থাকল না…জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপাতত তাই। যেহেতু এটা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে সেহেতু পুলিশেরই।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) তেঁতুলতলা মাঠের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সচিবালয়ের দপ্তরে দেখা করতে এসেছিলেন মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, বেলা’র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থপতি ইকবাল হাবিবসহ চার জন।
তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, তেঁতুলতলা কোনো সময়ই মাঠ ছিল না। এটা অ্যাবানডেন্ট (পরিত্যক্ত) প্রপার্টি ছিল। খালি জায়গা ছিল। এটা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন একটা অ্যাবানডেন্ট সম্পত্তি ছিল।
ঢাকা শহরেই আমাদের নতুন নতুন যেসব থানা হচ্ছে সেগুলোর ম্যাক্সিমামই (বেশিরভাগই) ভাড়া বাড়িতে। ভাড়া বাড়িতে থাকার কারণে আমাদের পুলিশ ফোর্স নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। সেজন্য এগুলো পারমানেন্ট (স্থায়ী) অবস্থায় নেওয়ার জন্য আমরা ডিসির কাছে নিয়ম অনুযায়ী বলেছিলাম, কলাবাগান থানার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যায় কি না। ডিসি দেখে শুনে এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এই জায়গাটি আমাদের বরাদ্দ দেন। এবং সেই জায়গাটির মূল্য হিসেবে যে টাকা এসেছিল আমাদের মেট্রোপলিটন পুলিশ টাকা জমা দেওয়ার পর ডিসি এই জায়গাটি আমাদের হস্তান্তর করে দেন। এটিই হচ্ছে মূল কথা।
তিনি বলেন, যেহেতু লোকালয়ের পাশে খালি জায়গা সেহেতু অনেকে বা বাচ্চারা খেলাধুলা করত। কিংবা একটু আলাপচারিতার জন্য এই জায়গাটি ছিল। এখন সবাই এই জায়গাটি নিয়ে নানাভাবে কথাবার্তা বলছে।
মাঠ রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত পরিবেশবাদীরা তো কিছুক্ষণ আগে আপনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, যেহেতু এটি এখন পুলিশের সম্পত্তি, কিছুক্ষণ আগে যারা আমাদের কাছে এসেছিলেন তারা একটা আবেদন করেছেন। বিকল্প কিছু করা যায় কি না, সে পর্যন্ত একটু স্থগিত রাখার জন্য। আমি বলেছি, আপনারাও একটু খোঁজাখুঁজি করেন। যাতে এই সুযোগটা থেকে ওই এলাকার মানুষ বঞ্চিত না হয়। আপনারা যদি একটা সুইটেবল জায়গা পান তাহলে…।
তিনি বলেন, থানা অবশ্যই জরুরি দরকার। এই বাচ্চাদের, যারা কথা বলছেন, তাদেরও একটা রিক্রিয়েশনের দরকার আছে। আপাতত কনস্ট্রাকশনটা না করে আমরা একটু খুঁজে দেখি। সেটাই বলেছেন।
আমি তাদের বলেছি, আমরা তো এখনই কনস্ট্রাকশনে যাচ্ছি না। খুঁজেন আমরা দেখব। আপনার যদি এর চেয়ে ভালো কোনো অফার দিতে পারেন অবশ্যই আমরা দেখব।
প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলে আসছেন খেলার মাঠ, নদী, নালা, খাল, জলাশয় সুরক্ষা দিয়ে উন্নয়ন করার জন্য। এ বিষয়টিকে আপনারা কিভাবে দেখছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা কিন্তু মাঠ যে বলেন…এটা বড়জোর ২০ কাঠা জমি হতে পারে। খুব বড় জমিও এটা নয়। খেলার মাঠ সেরকম কিছু নয়। টেনিস খেলার মাঠ হবে দুটা সেরকমও কিছু নয়। এটা খুবই ছোট একটা জয়গা। জায়গাটি একেবারে লম্বালম্বি একটা জয়গা। খুব সুন্দর বা ভালো একটা জায়গা তাও কিন্তু নয়। কাজেই সবকিছু এখন…যেহেতু তারা একটা আবেদন করে গেছেন আমরা অবশ্যই দেখব। সুইটেবল জায়গা যদি পাই…।
যেহেতু আমরা টাকা দিয়ে ফেলছি সেটার কি হবে সবকিছুই আমরা আলোচনা করব। এখন থানা ভবন নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে, যোগ করেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন এটা পুলিশের প্রপার্টি। যেহেতু একটা আবেদন এসেছে সেজন্যই আমি সেটাই বলছি, সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা চিন্তাভাবনা করব যে সেটা কি করা যায়।
তাহলে প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের বিষয়ে আপনি ডিএমপি কমিশনারকে বলবেন কি না- এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করব।
এনএইচবি/এমএমএ/আরএ/

দেশের বাজারে সোনার দাম কমেছে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩২ এএম

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। ভরিতে স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৮৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৯৮ হাজার ১৭৭ টাকা।
রোববার নতুন এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। রোববার ( ১ অক্টোবর) থেকে এটি কার্যকর করা হবে।

অনলাইন জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের হোতা বিদেশে পালানোর সময় গ্রেপ্তার
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২৯ এএম

বিদেশে পালানোর সময় অনলাইন প্লাটফর্ম মেল বেট, ওয়ানএক্স বেট ও বেট উনার নামের বেটিং সাইটগুলোর জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের হোতা মো. মতিউর রহমানকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নেপালে যাওয়ার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, গত ৩১ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বনশ্রী, আগারগাঁও ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনলাইন প্লাটফর্ম মেল বেট, ওয়ানএক্স বেট ও বেট উনার নামের বেটিং সাইটগুলোর জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এ সংক্রান্তে ডিএমপির পল্টন মডেল থানায় একটি মামলাও করা হয়। সেই চক্রের হোতা মতিউর রহমান।
মতিউরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, মতিউর ২০১৭ সালে পড়াশোনা করার জন্য রাশিয়ায় যায়। সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে বর্তমানে সোস্যাল ওয়ার্কে মাস্টার্স করছে। সে ২০২১ সালে ওয়ানএক্স বেট ও বেটউইনারের সঙ্গে যুক্ত হয়। সে ৫ হাজার ডলার সিকিউরিটি মানি দিয়ে ওয়ানএক্স বেট এবং ৩ হাজার ডলার সিকিউরিটি মানি দিয়ে বেটউইনার এর এজেন্টশিপ গ্রহণ করে।
বাংলাদেশে জুয়ার সাইট পরিচালনার দায়ে আগে গ্রেপ্তার ৬ জনের সহায়তায় একটি চক্র গড়ে তুলে মতিউর। চক্রের সদস্যদের মধ্যে সৈকত রানা, সাদিকুলসহ আরও কয়েকজন তাদের এম এফ এস এজেন্ট নম্বরগুলো ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করতো।
পরবর্তীতে সকল এজেন্টদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা সৈকত ও মতিউর যৌথভাবে পাঠিয়ে দিত। এভাবে তারা প্রতিমাসে বিপুল পরিমান টাকা হুন্ডি করে দেশের বাইরে পাচার করেছে।
গ্রেপ্তার মতিউর শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মানুষকে কেন ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে :প্রধানমন্ত্রী
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২১ এএম

ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মানুষকে কেন ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে— প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায় করেছে। ভোটের জন্য মানুষকে সচেতন করেছে। এরপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ এ ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষৎকারে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামীলীগ এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে। এ দেশের বহু মানুষ রক্ত দিয়েছে ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন হয় তার জন্য সব ধরনের সংস্কার করেছি। আজকে ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ,মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এসব আমরা করেছি। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মানে করি ন।’
তিনি বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ - এই স্লোগান আমার দেয়া। আমরাই মানুষকে ভোট নিয়ে সচেতন করেছি। আমাদের দেশ বেশিরভাগ সময় মিলিটারি শাসকরা শাসন করেছে। তাদের সময় মানুষকে ভোট দেয়া লাগেনি। তারা শুধু ফল ঘোষণা করেছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলন করে আমরা আজকে আমাদের নির্বাচন সুস্থ পরিবেশে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন মানুষ তার ভোটের অধিকার নিয়ে সচেতন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০০৯ এ সরকার গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এটা নিয়ে অনেক সময় অনেকে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাস্তবতা কী? বাংলাদেশের মানুষ তার ভোট নিয়ে সচেতন। কেউ ভোট চুরি করলে তাকে ক্ষমতায় থাকতে দেয় না।’
উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিলেন। সে কিন্তু দেড় মাসও টিকতে পারেনি। ওই বছরের ৩০ মার্চ তাকে জনগণের রুদ্র রোষে পড়ে পদত্যাগ বাধ্য হয়েছেন তিনি। আবার ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা করেছিল। সেই ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করে সে যখন সরকার গঠনের ঘোষণা দিলো... এরপর জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। সেই নির্বাচন বাতিল হয়ে গেলো। কাজেই আমাদের দেশের মানুষ কিন্তু এখন ভোট সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। কাজেই একটা নির্বাচন অবস্থা, সুষ্ঠু হবে- এটা তো আমাদেরই দাবি ছিল। এবং আন্দোলন করে আমরাই সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছি। তো আজ তারা স্যাংশন দিচ্ছে, আরও দেবে; দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের যে অধিকার; তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার, তাদের শিক্ষা-দীক্ষার অধিকারসহ সব মৌলিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি।