রাজধানীর নিউমার্কেটে উপচে পড়া ভিড়, বাইরে যানজট

২৭ এপ্রিল ২০২২, ০৫:১২ পিএম | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৩ পিএম


রাজধানীর নিউমার্কেটে উপচে পড়া ভিড়, বাইরে যানজট

ঈদ কেনাকাটায় রাজধানীর নিউমার্কেটের ভেতরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নিউমার্কেটকে ঘিরে আশেপাশের বিভিন্ন মার্কেটেও জমে উঠেছে কেনাকাটা। আর এর প্রভাবে নিউমার্কেট এলাকার সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সরেজমিন ঘুরে এ সব চিত্র দেখা গেছে।

ঈদ উপলক্ষে মার্কেট করতে আসা একাধিক সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, ঢাকার যানজট শেষ হবে কবে। একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে রাস্তায় যানজট। এতো দুর্ভোগ নিয়ে কেনাকাটা করব কিভাবে?

নিউ সুপার মার্কেটের ক্রেতা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ভাবছিলাম রাস্তায় যানজট কম হবে। এজন্য সকালে বের হয়েছি কেনাকাটার জন্য। রাস্তায় বের হয়ে দেখি যানজটে জমে আছে গাড়ি। এখন এই গরমে বাসায় যাব কি না ভাবছি...

নুরজাহান মার্কেটের ক্রেতা আলম হোসেন বলেন, ঢাকার রাস্তায় সব সময় যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। দেখার যেন কেউ নেই। এতো উন্নয়ন দিয়ে কি হবে, যানজট যদি না যায়?

নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটে কেনাকাটা করছেন শাপলা বেগম, তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে মার্কেটে এসেছি তখন ভিড় কম ছিল। এখন মার্কেটে ভিড় এবং রাস্তায় ব্যাপক যানজট।

চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের দোকানদার রহিম মড়ল বলেন, আল্লাহর রহমতে কেনাকাটা চলছে। ঈদের দুদিন আগ আরও বেশি বেচাকেনা হবে আশা করি।

নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এ সব কেনাকাটার সময় তেমন কোনো ক্রেতা বা বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি (মাস্ক) মানছেন না। ক্রেতারা বলছেন, আর মাস্ক পরে কি হবে? এই গরমে তো এমনিতেই মারা যাচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট মোড়ে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. মঈন হোসেন বলেন, ঈদের সময় নিউমার্কেটে যানজট থাকে স্বাভাবিক। যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। তবে, আজ রাস্তার লেন চলছে একেবারে কম, যার কারণে রাস্তায় যানবাহন জমে আছে।

তিনি বলেন, আজ সকাল থেকেই নিউমার্কেটের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ ক্রেতা এবং মানুষের প্রচুর ভিড়। যার কারণে রাস্তায় মানুষের চাপে আরও বেশি যানজট তৈরি হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

কেএম/আরএ/


বিভাগ : রাজধানী



দেশের বাজারে সোনার দাম কমেছে

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৮ এএম


দেশের বাজারে সোনার দাম কমেছে
ছবি সংগৃহিত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। ভরিতে স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৮৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৯৮ হাজার ১৭৭ টাকা।

রোববার নতুন এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। রোববার ( ১ অক্টোবর) থেকে এটি কার্যকর করা হবে।


অনলাইন জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের হোতা বিদেশে পালানোর সময় গ্রেপ্তার

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৭ এএম


অনলাইন জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের হোতা বিদেশে পালানোর সময় গ্রেপ্তার

বিদেশে পালানোর সময় অনলাইন প্লাটফর্ম মেল বেট, ওয়ানএক্স বেট ও বেট উনার নামের বেটিং সাইটগুলোর জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের হোতা মো. মতিউর রহমানকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নেপালে যাওয়ার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, গত ৩১ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বনশ্রী, আগারগাঁও ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনলাইন প্লাটফর্ম মেল বেট, ওয়ানএক্স বেট ও বেট উনার নামের বেটিং সাইটগুলোর জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এ সংক্রান্তে ডিএমপির পল্টন মডেল থানায় একটি মামলাও করা হয়। সেই চক্রের হোতা মতিউর রহমান।

মতিউরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, মতিউর ২০১৭ সালে পড়াশোনা করার জন্য রাশিয়ায় যায়। সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে বর্তমানে সোস্যাল ওয়ার্কে মাস্টার্স করছে। সে ২০২১ সালে ওয়ানএক্স বেট ও বেটউইনারের সঙ্গে যুক্ত হয়। সে ৫ হাজার ডলার সিকিউরিটি মানি দিয়ে ওয়ানএক্স বেট এবং ৩ হাজার ডলার সিকিউরিটি মানি দিয়ে বেটউইনার এর এজেন্টশিপ গ্রহণ করে।

বাংলাদেশে জুয়ার সাইট পরিচালনার দায়ে আগে গ্রেপ্তার ৬ জনের সহায়তায় একটি চক্র গড়ে তুলে মতিউর। চক্রের সদস্যদের মধ্যে সৈকত রানা, সাদিকুলসহ আরও কয়েকজন তাদের এম এফ এস এজেন্ট নম্বরগুলো ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করতো।

পরবর্তীতে সকল এজেন্টদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা সৈকত ও মতিউর যৌথভাবে পাঠিয়ে দিত। এভাবে তারা প্রতিমাসে বিপুল পরিমান টাকা হুন্ডি করে দেশের বাইরে পাচার করেছে।

গ্রেপ্তার মতিউর শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।


ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মানুষকে কেন ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে :প্রধানমন্ত্রী

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫১ এএম


ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মানুষকে কেন ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে :প্রধানমন্ত্রী
ভয়েস অব আমেরিকাকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মানুষকে কেন ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে— প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায় করেছে। ভোটের জন্য মানুষকে সচেতন করেছে। এরপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ এ ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষৎকারে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামীলীগ এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে। এ দেশের বহু মানুষ রক্ত দিয়েছে ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন হয় তার জন্য সব ধরনের সংস্কার করেছি। আজকে ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ,মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এসব আমরা করেছি। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মানে করি ন।’

তিনি বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ - এই স্লোগান আমার দেয়া। আমরাই মানুষকে ভোট নিয়ে সচেতন করেছি। আমাদের দেশ বেশিরভাগ সময় মিলিটারি শাসকরা শাসন করেছে। তাদের সময় মানুষকে ভোট দেয়া লাগেনি। তারা শুধু ফল ঘোষণা করেছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলন করে আমরা আজকে আমাদের নির্বাচন সুস্থ পরিবেশে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন মানুষ তার ভোটের অধিকার নিয়ে সচেতন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ২০০৯ এ সরকার গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এটা নিয়ে অনেক সময় অনেকে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাস্তবতা কী? বাংলাদেশের মানুষ তার ভোট নিয়ে সচেতন। কেউ ভোট চুরি করলে তাকে ক্ষমতায় থাকতে দেয় না।’

উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিলেন। সে কিন্তু দেড় মাসও টিকতে পারেনি। ওই বছরের ৩০ মার্চ তাকে জনগণের রুদ্র রোষে পড়ে পদত্যাগ বাধ্য হয়েছেন তিনি। আবার ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা করেছিল। সেই ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করে সে যখন সরকার গঠনের ঘোষণা দিলো... এরপর জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। সেই নির্বাচন বাতিল হয়ে গেলো। কাজেই আমাদের দেশের মানুষ কিন্তু এখন ভোট সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। কাজেই একটা নির্বাচন অবস্থা, সুষ্ঠু হবে- এটা তো আমাদেরই দাবি ছিল। এবং আন্দোলন করে আমরাই সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছি। তো আজ তারা স্যাংশন দিচ্ছে, আরও দেবে; দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের যে অধিকার; তাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার, তাদের শিক্ষা-দীক্ষার অধিকারসহ সব মৌলিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি।

অনুসরণ করুন